0 Comments

যুক্তরাজ্যের লিডস এবং ব্যারো-ইন-ফার্নেসে কয়েক বছর ধরে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগে তিন বাঙালিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আদালত। এই নির্যাতনের ঘটনাটি ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ঘটেছিল।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ৪৯ বছর বয়সী শাহ আমরান মিয়া যিনি জয় নামে পরিচিত, ৪৭ বছর বয়সী শাহ আলমন মিয়া যিনি আলী নামে পরিচিত এবং ৩৮ বছর বয়সী শাহ জোমান মিয়া যিনি সারজ নামে পরিচিত। তারা সকলেই তাদের নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছিলেন। তবে সারজ তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাদের এ সাজা প্রদান করা হয়। যার মধ্যে শাহ আমরান মিয়া সর্বনিম্ন ২০ বছর ৩৩৮ দিন মেয়াদে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, শাহ আলম মিয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং চার বছরের লাইসেন্স বাতিল ও শাহ জোমান মিয়া সর্বনিম্ন ২১ বছর ২৩২ দিন কারাদণ্ডের মেয়াদ সহ যাবজ্জীবন।

শাহ আমরান মিয়া তিন মেয়ের বিরুদ্ধে ১৬টি যৌন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, পাশাপাশি দুটি ভয় দেখানোর অভিযোগ এবং একটি অপহরণের অভিযোগ।

শাহ আলমন মিয়াকে একটি শিশুর সাথে তিনটি যৌন কার্যকলাপের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।শাহ জোমান মিয়া তিন শিশুকে যৌন নির্যাতনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। তার ৪০টি অপরাধের মধ্যে ৯টি ছিল শিশুদের ধর্ষণের অভিযোগ।

স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, প্রেস্টন ক্রাউন কোর্ট শুনানিতে বলেছে যে, সারজ এবং জয় বহু বছর ধরে লিডসের একটি মসজিদে নিয়মিতভাবে দুই শিশুকে যৌন নির্যাতন করেছেন। যখন ভুক্তভোগীদের বয়স সাত বছর ছিল। ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে কামব্রিয়ার ব্যারোতে তাদের পরিবারের টেকঅ্যাওয়ে-র উপরে একটি ফ্ল্যাটে এই তিনজন দুর্বল এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের নির্যাতন করেছিলেন। তারা তাদের সিগারেট, অ্যালকোহল, খাবার এমনকি চুলের এক্সটেনশনও দিত, যাকে ব্যারিস্টার টিম ইভান্স কেসি “ক্লাসিক গ্রুমিং টেকনিক” বলে অভিহিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, ভাইয়েরা একটি দল হিসেবে কাজ করেছিল এবং ব্যারোতে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছিল যেখানে তাদের প্রত্যেকেই অল্পবয়সী মেয়েদের নির্যাতন করতে পারে।

বিচারক আনসওয়ার্থ কেসি বলেন, তারা ভুক্তভোগীদের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিচারক বলেন, টেকঅ্যাওয়েতে নিয়মিতভাবে একাধিক স্কুলছাত্রীকে তাদের পোশাক পরা অবস্থায় দেখা যেত, এমনকি তাদের পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য নির্মম আচরণ করা হত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts