ইংল্যান্ড দলে লম্বা দাড়ির খেলোয়াড় মঈন আলি। মঈন মুনির আলি। জন্ম. বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটও খেলেছেন। মূল দলে খেলছেন অনেক দিন হলো। ব্যতিক্রমী এক চরিত্র। ধর্মপ্রাণ মুসলমান। এখন পাকিস্তানের সাথে লর্ডস টেস্টে খেলছেন। বিবিসির কাছে এক সাক্ষাৎকারে মঈন বলেছেন, প্রয়োজনে ইসলাম ধর্মের জন্য তিনি মুহূর্তে ক্রিকেট ছাড়তে রাজি। আর সংখ্যালঘু হিসেবে যে সব সমস্যার মুখোমুখি ইংল্যান্ডে হন সেটিকে জীবনের অংশ হিসেবেই দেখেন মঈন।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৩৯টি ওয়ানডে ও ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা মঈনের। তিনি বলেছেন, ইসলামই একমাত্র বিষয় যা তাকে সুখ দেয়। আর এর জন্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানাও ব্যাপার না। মঈন বলেছেন, “ইসলাম, মুসলাম ও বৃটিশ এশিয়ানদের প্রতিনিধি হিসেবে মনের ভেতরে দায়িত্ব অনুভব করি। এটা ইতিবাচক ব্যাপার। আমি যতোক্ষণ পর্যন্ত পারফর্ম করি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।”
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কি? মঈনের সাফ জবাব, ইসলাম। তার ভাষায়, “এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতেই আমার ভালো লাগে। আমার জীবনে এটাই সবসময় চেয়েছি। তরুণ বয়সে এর থেকে অনেক দুরে ছিলাম। আমার ১৮-১৯ বছর বয়সে এভাবেই জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নেই। কেবল এটাই আমাকে সুখ দিতে পারে।” এরপর ক্রিকেটের সাথে তুলনা এলে মঈন বলেন, “ক্রিকেট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোনোদিক দিয়েই ইসলামের ধারে কাছে না। আমাকে আগামীকাল ক্রিকেট ছেড়ে দিতে হলেও তা সহজ ব্যাপার।”
বার্মিংহামে স্থায়ী বাস মঈনের। কিছুদিন আগে এই শহরের বিমানবন্দরেই তাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। নানা জিজ্ঞসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। পরে মঈন এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এবং বৃটেনে মুসলিম সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে অনেক কিছুই মেনে নেন মঈন।
মুসলিম সংখ্যালঘু হিসেবে মুখোমুখি হওয়া নানা সমস্যার প্রসঙ্গ এলে মঈন বললেন, “এটা কঠিন। মনে হয় যেন আপনার ওপর পাহারা বসানো হয়েছে। আমার জন্য এটা জীবনের অংশ। এই কঠিন সময়ে পেরিয়ে শেষে আলোর দেখা পেতে আশাবাদী আমি। সব ঠিক হয়ে যাবে। মুসলমানদের জন্য আগেও পরিস্থিতি কঠিন ছিল। অন্য সম্প্রদায়ের জন্য অন্য দেশেও একই ঘটনা। এটা জীবনেরই অংশ।”