প্রেমিকা তন্নি রায়ের (১৮) একাধিক সম্পর্কের কারণে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন প্রেমিক রানু রায়।
শনিবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আদালতে তিনি বলেন, একাধিক সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রাগের বশে রানু গলাচেপে ধরলে শ্বাস বন্ধ হয়ে প্রেমিকের হাতেই মারা যায় তন্নি।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের ২০ দিনের মাথায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ ব্রাক্ষ্ণণবাড়িয়া থেকে তাকে আটক করে হবিগঞ্জ নিয়ে আসে। শনিবার আদালতে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। আটক রানু রায় নবীগঞ্জ উপজেলার জয়নগর গ্রামের সবজি বিক্রেতা কানু রায়ের পুত্র।
ডিবির ওসি আজমিরুজ্জামান জানান, রানু বলেছেন তন্নির সাথে দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তাদের মাঝে একাধিকবার দেখা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার আক্রমপুরের বরাক নদী থেকে উপজেলার করগাও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামের বিমল রায়ের কন্যা তন্নি রায়ের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।